রুপন দত্ত – আনোয়ারা ( চট্টগ্রাম ) প্রতিনিধি
এমরান চৌধুরী বয়সে তরুণ হলেও দীর্ঘ সময় ধরে তিনি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এর পতাকা নিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম তথা চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা-কর্নফুলী এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন । বিগত প্রায় ১৫ বছর চট্টগ্রাম -১৩ আসনের এলাকায় কোন রাজনৈতিক রক্তচক্ষুকে তোয়াক্কা না করে দল এবং জনগণের স্বার্থে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা-কর্নফুলী উপজেলা থেকে অংশ নিবেন তিনি। আগে বিভিন্ন বাঁধা উপেক্ষা করে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে মুক্তভাবে তিনি দলের বিভিন্ন সভা-সমাবেশ এবং দলের নেতা-কর্মী ও জনসাধারণকে এ বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন । পরোপকারী জনহিতকর কর্মের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে এমরান তৃণমূল নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। এমরান বলেন, দল থেকে চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই, বরং দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছি। নতুন ভাবে ২০২৫ কে শুভেচ্ছা জানিয়ে এমরান চৌধুরী বলেন, ‘ আগামী ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। সবাইকে আমি বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি । বর্তমান অন্তর্ভরতী কালীন সরকার আগামীতে যে জাতীয় নির্বাচন দিবে সেখানে আমি দল থেকে অবশ্যই নির্বাচন করবো। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি এমরান চৌধুরী আপনাদের মাঝে আসছি। আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়া চাই। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক ববি হাজ্জাজ এর দল এনডিএম আনোয়ারা-কর্নফুলিবাসীর কাতারে আসবে।
এমরান চৌধুরী আনোয়ারা উপজেলার ৬ নং বারখাইন ইউনিয়নের আদর্শ গ্রাম শিলাইগড়ার আলি আহমদ সওদাগরের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত শাহ্ আলম ছিলেন একজন নামকরা ব্যবসায়ী। দাদা মরহুম আলী আহমদ সওদাগর ছিলেন প্রসিদ্ধ জমিদার। তিনি তৎকালীন বার্মার রেঙ্গুন এবং আকিয়াবের সাথে বানিজ্য করতেন এবং চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের সফল ব্যবসায়ী ছিলেন।
২০১৭ সালে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত প্রথম বিভাগীয় সন্মেলনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও থানা থেকে বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে রাজনৈতিক পদযাত্রা শুরু করেন। ২০১৯ সালের ৩০ শে জানুয়ারী সিংহ মার্কা নিয়ে এনডিএম নিবন্ধন পাওয়ার পর একই বছর ২৭ শে সেপ্টেম্বর আনোয়ারা সদরে এক কর্মী সন্মেলনে এমরান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক ঘোষণা করেন দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এরপর ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এমরান চৌধুরীর মেধা, শ্রম এবং তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে মূল্যায়ন করে পরবর্তীতে এনডিএম এর ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ তাঁকে কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভূষিত করেন। সর্বশেষ সন্মেলনে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এমরান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন। সাথে সাথে তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির জনসংযোগ এবং সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মহানগরের দায়িত্ব পাওয়ার পর অন্যান্য সাংগঠনিক এলাকার মতোই দলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং চিন্তাচেতনা জনগণের দৌড় গোড়ায় পৌঁছাতে জনবান্ধব নানা কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন এমরান চৌধুরী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে সংসদীয় এলাকায় কি কি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন? এর জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে জনগণের প্রকৃত সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। এলাকার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করবো, এ আমার প্রত্যাশা। সুতরাং জনপ্রতিনিধি নয়, আমি হতে চাই জনগণের প্রকৃত সেবক। এমরান ছোট-বড় ভেদাভেদ করে না। তিনি সাদাকে সাদা বলেন, কালোকে কালো বলেন।
এজন্যই চট্টগ্রামের সুধী সমাজে আছে তার সুনাম। এমরান চৌধুরীর মতো একজন অসাম্প্রদায়িক প্রগতিবাদী দায়িত্ববান মানুষ বর্তমান সমাজে বড়ই বিরল। ভালো মানুষ হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল এবং এখনো আছে। সবধরনের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের মাধ্যমে সম্প্রীতির উপজেলা গড়ার শপথ করেন তিনি ।