মনছুরুল ইসলাম চৌধুরী কক্সবাজার
সন্ত্রাসী মুহিত ও রাবেয়াগং কর্তৃক জাল দলিলে জায়গা ও চলাচলের রাস্তা জবরদখল করে বাড়ি নির্মানের অভিযোগ।
সন্ত্রাসী মুহিত উদ্দিন চৌধুরী (৩৫) ও তার বোন রাবেয়া খানম প্রকাশ রাবু (৪০)গং পিতা- মৃত মমতাজ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (প্রকাশ তোসন মিয়া), মাতা- মৃত মনোয়ারা বেগম, গ্রাম- জমিদার পাড়া, পোঃ হারবাং, উপজেলা – চকরিয়া, জেলা-ক্সবাজার কর্তৃক (কৈয়ারবিল, চকরিয়ার সন্ত্রাসী ওসমান দালালসহ) আরও জড়িত সন্ত্রাসী কায়দায় ওয়ারেন্ট অফিসার (অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য) মোহাম্মদ মনছুরুল ইসলাম চৌধুরীগং এর ঘটনাস্থলের তফলিক্তো কবলায় খরিদা ও ওয়ারিশি বসত বাড়ির জায়গাসহ ৭টি পরিবারের চলাচলের রাস্তাঘাট জবরদখল করে সেখানে বাড়ি নির্মানে বাঁধাদানে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ, মিথ্যা মামলায় জড়ানোর, প্রাণে হত্যাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করেন।
বিবাদী সন্ত্রাসীগং তাদের বিভিন্ন অন্যায়, অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার নিমিত্তে সন্ত্রাসী মুহিতগং তার ব্যবহৃত অনলাইন মাধ্যম ফেসবুকে, Mohit Mohit id হতে যার আইডি লিং- httsp://www.facebook.com/
mohit.chy.967 হতে বাজে মন্তব্য করে স্বনামধন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জড়িত করে উক্ত সেনাসদস্যকে উদ্দেশ্য করে, উনার সারাজীবনের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে ফেইজবুকে তার ছবি ছাড়িয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে তার অর্জিত মানসম্মান এলাকার মানুষের কাছে বিলীন হচ্ছে। এ ব্যাপারে উক্ত সেনাসদস্য কর্তৃক প্রতিবাদ করলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ, প্রানে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছেন। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে উক্ত সেনাসদস্যের জানমালের চরম নিরাপত্তাহীনতার ব্যাপারে গত ০৮/১২/২০২৪ইং তারিখ (রবিবার) অধিনায়ক মহোদয়, চকরিয়া আর্মি ক্যাম্প, কক্সবাজার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। যার অভিযোগ নং ১৪১৩। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ০৯/১২/২০২৪ইং তারিখ (সোমবার) বিকেল ০৪ ঘটিকার সময় সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে/তদন্তে আসেন। কিন্তু রাবেয়া খানম প্রকাশ রাবু কর্তৃক খারাপ আচরণের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে গত ১০/১২/২০২৪ইং তারিখ (মঙ্গলবার) সাক্ষীসহ জায়গার সমূূদয় নথিপত্রসহ চকরিয়া আর্মি ক্যাম্পে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সাথে সাথেই উক্ত মহিলা এলাকার জনগণের সামনে উক্ত সেনাসদস্য ও তার মৃত মা-বাবাকে উদ্দেশ্য করে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনকে জড়িত করে খুবই অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন বলে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান।
উক্ত তারিখে উভয় পক্ষগং ক্যাম্পে বিচার বৈঠকে হাজির হলেও বিবাদী রাবেয়া খানম প্রকাশ রাবুগং কর্তৃক সেনাবাহিনীর কাছে তাদের পিতা কর্তৃক বিগত ৪০ বছর পূর্বে গত ১১/২/৮৫ইং তারিখে ক্রয়কৃত ৭ শতক খাস নাল জমির নকল দলিল নং ৬৭৯ এর ৪ পাতা ব্যতিত দলিলের সাক্ষীসহ মূল দলিল, সৃজনকৃত খতিয়ান, খাজনার দাখিলা এবং জায়গা ক্রয়ের স্বপক্ষে আরএস খতিয়ান নং ২৭১৪ ও বিএস খতিয়ান নং ৪১০১ কোনকিছুই উপস্থাপন করতে পারেননি, ব্যর্থ হোন। বিবাদী রাবেয়াগং কর্তৃক ১নং হারবাং ইউপি ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার জনাব হারুন সাহেবকে ইতিপূর্বে তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক বর্নিত বিষয়ে সুরাহার ব্যাপারে দায়িত্বে নিয়োজিত করার কথা বলাতে তখন উক্ত ক্যাম্প সেনাবাহিনীও হারুন মেম্বার সাহেবের মোবাইল নং নিয়ে তার সাথে কথা বলে তাকে এ ব্যাপারে বিচারের জন্য দায়িত্ব প্রদানসহ জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্যও অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে গত ১২/১২/২০২৪ইং তারিখ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ০৬ ঘটিকার সময় একই এলাকার মরহুম রাজীব উদ্দিন খানের বাসস্হানে জনাব, হারুন মেম্বার সাহেবের নেতৃত্বে একজন দক্ষ আমিন প্রাক্তন শমসু মেম্বারসহ উভয় পক্ষকে নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিচার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিচার বৈঠকে রাবেয়াগং কর্তৃক শুধুমাত্র উক্ত নকল দলিল ব্যতীত আনুসাংগিক কোন প্রকার নথিপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি ও প্রতারণার মাধ্যমে তৈরিকৃত জাল দলিলের সাক্ষী নাহয়েও সাক্ষী জনাব, শাহা আলম (দলিলে পিতা ও ঠিকানা কোনকিছুই উল্লেখ নেই) তিনি মারা গেছেন বলে জানান। তবে, খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, উক্ত দলিলের সাক্ষী এখনও বেঁচে আছেন ও বর্তমানে তিনি রাহাত্তারপুল চট্টগ্রামে তার প্রবাসী মেয়ের বাসস্হানে অবস্থান করছেন বিধায় এরি সূত্র ধরে বিষয়টির আসল রহস্য উদঘাটন ও সত্যতা যাচাই নিশ্চিত করতে গত ১৫/১২/২০২৪ইং তারিখ (রবিবার) আনুমানিক দুপুর ২ ঘটিকার সময় উক্ত সেনাসদস্যসহ জায়গার ওয়ারিশানের মধ্যে তার চাচাতো বোন জাহানারা মুন্নী, পিতাঃ মৃত মফিজুল হক, প্রকাশ দুদু মিয়া স্বশরীরে সরাসরি উক্ত বাসস্থানে গমন করে সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি উক্ত দলিলের কোন সাক্ষী নন, এ ব্যাপারে তিনি কোনকিছুই অবগত নহেন, তবে উহা প্রতারনার মাধ্যমে তার নামের স্থলে অন্য লোককে দিয়ে সাক্ষী বানিয়ে জাল দলিল তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তখন জাল দলিলের বিষয়ে সবায় নিশ্চিত হোন। উক্ত দলিলের সাক্ষীর সাক্ষাতকার ধারণকৃত ভিডিও বক্তব্য সংগ্রহ করে সাথে সাথেই বিচারকসহ এলাকার জনগণের কাছে মোবাইলে পাঠানো ও দেখানো হলে তারা সবায় রাবেয়াগং এর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেন।