মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ কক্সবাজার
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ তৎপর কোস্টগার্ড : মহাপরিচালক
মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা ঠেকাতে কোস্টগার্ড সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল জিয়াউল হক।
তিনি বলেছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এবং সে দেশের পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। নদী পথে এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোস্টগার্ড তৎপর রয়েছে। নদীপথে আমাদের টহল জোরদার রয়েছে। ফলে নদীপথে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশে ব্যর্থ হচ্ছে। তা ছাড়া সীমান্তে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আমরা প্রতিহত করছি। মূলত কিছু দালালের মাধ্যমে অন্য পথে ঢোকার চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা। এর জন্য স্থানীয় জনগণকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড। মিয়ানমারের ঘটনাটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মিয়ানমারের জান্তা ও আরাকান আর্মির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুদ্ধ চলতেছে। যুদ্ধ এমন একটা পর্যায়ে এসেছে, আরকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর পরাজয় হচ্ছে। দুই পক্ষের গোলাগুলির কারণে সীমান্তের মানুষেরা একটু ভয় থাকে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কোস্টগার্ড সদস্যরা সীমান্তের বাসিন্দাদের পাশে রয়েছেন।’
বুধবার সকালে টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিনে মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন এবং শাহপরীর দ্বীপের শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় সীমান্ত পরির্দশনের বিষয়ে কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক জিয়াউল হক বলেন, বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা এবং জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এজন্যই কোস্টগার্ড অসহায় মানুষের কাছে ভালোবাসা অর্জনের পাশাপাশি প্রিয় হয়ে উঠেছে।এসব কাজ করার জন্য কোস্টগার্ডের জনবল বৃদ্ধি করা দরকার।