খুলনায় শুধু প্রতিষ্ঠান নয় স্থান বা মোড়ের নামও পরিবর্তন করে আওয়ামীলীগ সরকার,
শেখ শহিদুল ইসলাম খুলনা
শুধু প্রতিষ্ঠান নয় স্থান বা মোড়ের নাম ও পরিবর্তন করা হয়েছিল আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নতুনের পাশাপাশি পুরাতন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেও করা হয় শেখ পরিবারের নামে, খুলনায় জিরো পয়েন্ট এবং কে দিয়ে ময়ূরী আবাসিক এলাকার মধ্যবর্তী একটি মোড়ে নাম ছিল খালাসির মোড় নগরীর গোবর চাক্কা এলাকার আব্দুল আজিজ খালাসির বেশ জমি জমা ছিল সেখানে,, খালাসী বাড়ি জমি আছে বলেই মূর্তির নামকরণ হয়ে যায় খালাসির মোড়, কিন্তু আব্দুল আজিজ খালাসীর মৃত্যুর পর তার সন্তানেরা শোকাহত হওয়ায় ওই জমির কাগজপত্র নিয়ে বেশ কিছুদিন ছিলেন নিরব,, এই নীরবতার সুযোগেই সেই সম্পত্তি দখলের লক্ষ্যে, একটি জালিয়াতি চক্র আওয়ামী লীগ আমলে জাল কাগজপত্র তৈরি করে হঠাৎ একদিন সাইনবোর্ড টা নিয়ে নামকরণ করে জয় বাংলা মোড়,, খুলনার আওয়ামী লীগের আমলে সর্বশেষ প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামটি ও করা হয় পতিত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের নামে, তবে খুলনার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার চাচার নামে, নতুন প্রতিষ্ঠানের মধ্য বিশ্বায়িত হাসপাতালটির নামকরণ করা হয় শহীদ শেখ আবু নাছের বিস্তারিত হাসপাতাল নামে যেটি গত তিনি নভেম্বর 1 প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার পরিবর্তন করে খুলনা বিশাষায়িত, হাসপাতাল নামকরণ করে, এক সময় খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নাম ছিল বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ মশিউর রহমান বিভাগীয় স্টেডিয়াম, আওয়ামী লীগের আমলে সেটির নামও করা হয় শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, গত পাঁচ আগস্ট এর পর ওই স্টেডিয়ামের নামকরণ পূর্বের নামে করার দাবিতে মানববন্ধন করে একটি নাগরিক সংগঠন, খুলনার একজন আলোচিত জেলা প্রশাসকের আমলে সার্কিট হাউসে করা হয়েছিল টেনিস কোর্ট নামকরণ, করা হয় শেখ পরিবারের আরো এক সদস্য শেখ রাসেলের নামে, এমনিভাবে রূপসা নদীর তীরে করা ইকোপার্ক ও করা হয় শেখ রাসেল ইকোপার্ক নামে, সেরে বাংলা রোডের আলোচিত শেখ বাড়ির পাশেই গড়ে উঠেছিল একটি হাফিজি মাদ্রাসা সেটিরও নামকরণ করা হয় শহীদ শেখ আবু নাসের হাফিজিয়া মাদ্রাসা নামে, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের আশ্রফ কেন্দ্রে হিসেবে খুলনায় ছিল দুটি প্রতিষ্ঠান একটি নগরীর গল্লামারিতে অপরটি বটিয়াঘাটার,, মল্লিকের মোড় অবস্থিত, ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম করা হয় শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পূর্ণবাসন কেন্দ্র নামে, যার একটি বালক অপরটি বালিকা, ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের নামও সম্প্রতি পরিবর্তন করে করা হয় সম্মিলিত শিশু করুন আবাসন কেন্দ্র, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ইতিমধ্য নতুন সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে তবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এখনো রয়েছে বঙ্গমাতা হল তাছাড়া খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, আওয়ামীলীগ আমলে শেখ রাসেল লাভ করা হয়েছিল, সেগুলো এখনো বিদ্যমান এভাবে নতুন প্রতিষ্ঠানের নামকরণের পাশাপাশি অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেও করা হয়েছিল শেখ পরিবারের নামে, যেগুলো অনেকের হাসির খোরাক ও যুগিয়েছে, এমন একটি প্রতিষ্ঠান নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় আল ফারুক সোসাইটি ছিল আল ফারুক সোসাইটি দাখিল মাদ্রাসা যেটি জামাতের টেস্টের সম্পত্তি, কিন্তু সেটি দখল করে নামকরণ করা হয় শহীদ শেখ আবু নাসের দাখিল মাদ্রাসা সেখানে আরও একটি প্রতিষ্ঠানের নামে দেওয়া হয় শেখ রিজিয়া নাচের হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এছাড়া পার্শ্ববর্তী খুলনা টেকনিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছিল জয় বাংলা কলেজ, শেখপাড়া আগা খান স্কুলের নামও করা হয় শহীদ শেখ আবু নাসের হাই স্কুল, এমনকি খুলনা প্রেস ক্লাব ব্যাং কুয়েট হলের নাম করা হয়েছিল আবু নাসেরের নামে, যদিও সেটা এখনো পূর্বের নামেই পরিচিত পেয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর কনার, নামকরণের এমন সংস্কৃতি কে, ভিন্নভাবে দেখছেন খুলনার নাগরিক সমাজের নেতারা, এ প্রসঙ্গে সচেতন নাগরিক কমিটির সনাক খুলনা সভাপতি এন্ড, কুদরত ই খুদা বলেন এটি একটি অপসংস্কৃতি, বরং এতে রাজনীতিকে আরো কলুষিত করা হয় এ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন,,,।