জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
সামছুলের দালালিকাণ্ডে নানা অপকর্ম ফাঁস
নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জ ইটনায় বেআইনি কাণ্ডে অভিযুক্ত বিচারাধীন মামলার থেকে বাঁচতে আসামি হয়েও মিথ্যা পাল্টা মামলা করে ভুক্তভোগী বাদি আলম ও চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। স্বৈরাচার সরকারের পাতি দালাল হিসেবে সামছুল
এলাকায় সব ধরনের অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত থেকেও এখনোও তার অপকর্ম ধামাচাপায় রয়ে গেছে আড়ালে। ক্ষমতার পালা বদলে এখনো দালালি ও বেআইনি কাজে সক্রিয় অপকাণ্ডে ও অপকর্মে।
এখনোও আইন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার নাগালের বাহিরে। বাদী আলম এর মামলার জেরে সামছুলের দালালিকাণ্ডে নানা অপকর্ম ফাঁস হয়। স্থানীয় জন প্রতিনিধি,গ্রাম্য সালিশি বিচারক মোড়ল মাতব্বরদের ম্যানেজ করেই এসব অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে করে চলেছে । এলাকার নিরীহ মানুষের নীরবতা সরলতার সুযোগে ভুক্তভোগীরা বছরের পর অপূণীয়য় ক্ষয়ক্ষতির শিকার দালাল শামসুলের ফাঁকে ফাঁদে ও অপকাণ্ডে।
ঘটনা ক্রমে,চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সত্বেও কিশোরগঞ্জের ইটনায় রায়টুটি ইউনিয়নের মামলাবাজ শামসুলের দালালি অপকান্ডের তথ্যফাঁস। ভুক্তভোগী বাদি আলমের মামলা থেকে বাঁচতেই অহেতুক বানোয়াটী মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা থেকে অব্যহতি মুক্তির দাবিতে ব্যাবসায়ি সমাজ ও এলাকাবাসীর লিখিত স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে উক্ত মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মিথ্যে মামলার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষকর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই অত্র এলাকার ব্যবসায়ী সমাজ ও এলাকাবাসী।
যার সত্যতা ইতিপূর্বে বাদী আলমের মামলার অভিযোগে সাংবাদিকদের বাস্তব অনুসন্ধানে গণমাধ্যম প্রিন্ট পত্রিকা অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসে। এলাকার ক্ষমতা আদিপত্য বিস্তার প্রতিহিংসা প্রতিশোধের জেরে নানা কারণে দালাল শামসুলের অপকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার সব রকমের অপচেষ্টা নেপথ্যে রয়েছে গ্রামের জনপ্রতিনিধি গ্রাম্য শালিসী বিচারক নীতি নির্ধারক ও মোড়লদের দৃশ্য-অদৃশ্য যোগসাজশে।
সরেজমিনে,গত ১৪ই জুলাই ২৪ইং মোঃ বাচ্চু মিয়া সওদাগর তার নিজ দোকান ও চট্টগ্রামে তার নিজ বাসায় অবস্থান সত্ত্বেও ওইদিনের অবস্থান কিশোরগঞ্জ ডিসি অফিস প্রাঙ্গণ দেখিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। অপর আসামিরাও চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও জীবিকা নির্বাহ করে থাকে যার মামলা নং- ০৮/০৯/২৪ইং, ৫০১/২৪ইং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নাম্বার-২, কিশোরগঞ্জ।
তার আগে মামলার বাদি আলম দালাল শামসুল হক বাদি গাজি মিয়া ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। যার মামলা লং - ৩১২/২৪ইং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪,কিশোরগঞ্জ।
মিথ্যা মামলার সাক্ষীরা হলেন আসামি ৪জনসহ বাকী ২জন। ১। সামছুল হক, পিতামৃত- আঃ খালেক,২। মোঃ সাইফুল, পিতা- জিল্লু মিয়া,সাং- রাজী, থানা- ইটনা, জেলা- কিশোরগঞ্জ। ৩। আঃ হাই, পিতা- জিল্লু মিয়া ৪। মাজু মিয়া, পিতা- আঃ জাহেদ ৫। হারুন মিয়া, পিতামৃত- আঃ মজিদ,
৬। আলমগীর, পিতা- সুলমান, সর্ব সাং- কান্না, থানা- ইটনা, জেলা- কিশোরগঞ্জ।
ঘটনাক্রমে, মোঃ বাচ্চু মিয়া সওদাগর বায়েজিদ বোস্তামী থানার, ধনির পাহাড় এলাকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে উক্ত এলাকার বাসিন্দা। এখানে তার স্থায়ী ঘর ও দোকান আছে। আমরা তাকে শান্তিপ্রিয়, অরাজনৈতিক, সাধারণ ও নিরহ প্রকৃতির মানুষ হিসেবে জানি। আমাদের জানামতে তিনি তার দোকান, পরিবার ছাড়া কোন ধরনের রাজনৈতিক, অসামাজিক, সমাজের ক্ষতি হয় কোন কার্যকলাপে কখনো ছিলেন না এবং সর্বদা সমাজের কল্যান হয় এমন কাজে নিজেকে জড়িত রেখেছেন।
আমারা সবাই অবগত আছি যে, তিনি বায়েজিদ বোস্তামী থানা,চট্টগ্রামের ভোটার। তিনি তার দোকান ছেড়ে দূরে কোথায় যান না। তিনি তার সকল উৎসব আমাদের সাথে পালন করেন এমনি ইদের সময় ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সময় দেন। তিনি একজন সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তিনি গত ১৪ই জুলাই ২০২৪ইং সে তার নিজ দোকান ও চট্টগ্রামে তার নিজ বাসায় অবস্থান করেছিলেন যার আমরা নিজে দেখেছি এবং তারা সাথে তার দোকানে লেনদেন করেছি।
উক্ত দিন তিনি তার দোকান প্রতিদিনের মত সকালে খুলেন এবং রাত্রির সময় বন্ধ করেন। তিনি উক্ত দিন দোকান ছেড়ে কোথায় যান নি বলে আমরা স্বাক্ষ্য দিচ্ছি এবং তার উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উক্ত বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এনামুল হক খান বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আইনের আওতায় বিচারাধীন আছে। সত্য ঘটনা তদন্তে অপরাধী যেই হোক না কেন তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান। তবে,তিনি সামছুলের দালালী অপকাণ্ডের কিছুই জানেন না বলে জানান। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই বলেও তিনি জানান। তার দালালি উপকাণ্ডের ধামাচাপা দেওয়ার সব রকমের অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তবে,স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মাজহারুল ইসলাম ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে কথা বলেন। দালাল সামছুলের পক্ষে কথা বলেন।
স্থানীয় বর্তমান ২নং ওয়ার্ড মেম্বার কাঞ্চন মিয়া তিনি বলেন, শামছুলের অপকাণ্ডে দালালি ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেক মানুষ নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি শিকার হচ্ছে। আইনি জটিলতা হয়রানি ভোগান্তির কারণে তার বিরুদ্ধে শত অভিযোগ থাকলেও কেউ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার চাইনি। ভুক্তভোগী আলমের ঘটনা অভিযোগ তার মাধ্যমে জেনেছেন। বিষয়টি সত্যতায় স্বীকার করেন। তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেন।
প্রধান সম্পাদক : মোঃ সাহাবুউদ্দিন, প্রকাশক সম্পাদক : মাসুদ পারভেজ, বার্তা সম্পাদক : ক্বারী আমান উল্লাহ দৌলত
ফোন : +৮৮ ০১৮২৫২৮০৫০০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত